![]() |
রথ |
‘মহাভারত’ পড়তে বসলে দেখা যায়, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পরে কৌরব ও পাণ্ডবকুল শূন্য হয়ে যায়। পঞ্চপাণ্ডবের সন্তানরাও এই যুদ্ধে নিহত হন। কেবল বেঁচে যান অভিমন্যুর স্ত্রী উত্তরার গর্ভস্থ সন্তান পরীক্ষিৎ। তিনিই পরে হস্তিনাপুরের সিংহাসনে বসেন।
কিন্তু তার পরে প্রশ্ন থেকে যায়, কুরুকুলের কী হলো? খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে উত্তর ভারতে ষোড়শ মহাজনপদের উত্থানের কালে কুরুকুলের উল্লেখ পাওয়া যায়। ‘মহাভারত’-এর ঐতিহাসিক সত্যতা বহুকাল আগেই নিরূপিত। হরিদাস সিদ্ধান্তবাগীশ থেকে ডি ডি কোশাম্বী পর্যন্ত মহাভারতের ঐতিহাসিকতা নিয়ে গবেষণা করে গেছেন। ফলে এই প্রশ্ন ভারতীয় মননে দেখা দেয়াটাই সংগত যে, চন্দ্রবংশের কী হলো।
‘শ্রীমদ্ভাগবৎ গীতা’য় পাণ্ডবদের যে বংশ তালিকা দেয়া হয়েছে, তা হচ্ছে- অভিমন্যু, পরীক্ষিৎ, জন্মেজয়, শতানিক, সহস্রানিক, অশ্বমেধজ, অসীমকৃষ্ণ, নেমিচক্র, চিত্ররথ, শুচিরথ, বৃষ্টিমান, সুষেণ, সুনীত, নীচাক্ষু, সুখীনল, পরিপ্লব, সুনয়, মেধাবী, পাঞ্জয়, দুর্ব, তিমি, বৃহদ্রথ, সুদাস, শতানিক, দুর্দমন, মহীনর, দণ্ডপাণি, নিমি এবং ক্ষেমক।
ক্ষেমক এই বংশের ত্রয়োদশ পুরুষ। তার পরে আর কারোর নাম শ্রীমদ্ভাগবৎ গীতায় পাওয়া যায় না। অনুমান করা যায়, তার সময়েই পাণ্ডবদের রাজধানী কারোর দ্বারা আক্রান্ত হয় এবং তারা ইতিহাস-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।
তার পরে কেটে গেছে হাজার বছর। বিম্বিসার-অশোকের ধূসর জগৎ ক্রমে লীন হয়েছে সুলতানি-মুঘল জমানায়। বদলেছে এ দেশের রাজনৈতিক মানচিত্র। কুরু বংশের সন্তানরা এর মধ্যেই কিন্তু টিকে ছিলেন। যুগের বদলের সঙ্গে সঙ্গে তারাও বদলেছেন। এমনকী বদলে ফেলেছেন ধর্মও। এমনই এক দাবি পোষণ করে হরিয়ানা-উত্তর প্রদেশ-রাজস্থানের মেওয়াট অঞ্চলে বাসরত এক বিশেষ মুসলমান সম্প্রদায়।
মেওয়াটি মুসলমানরা নিজেদের মধ্যে পাণ্ডব-গৌরব কীর্তন করতেন, এমনটাই সাক্ষ্য দিচ্ছে বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। এই গানে অর্জুনের মতো মহাভারতীয় বীরদের কথা ঘুরে-ফিরে আসে। এসব অঞ্চলের লোকবিশ্বাস— পাণ্ডবরা রাজধানী থেকে উচ্ছিন্ন হলে তাদের বংশধররা এই অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েন এবং কালক্রমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
অনুমান করা হয় এই ধর্মান্তরণ ঘটেছিল ১২ থেকে ১৭ শতকের মধ্যে। ধর্মান্তরণের পরেও মুসলমানদের একাংশ বিশ্বাস করতে থাকেন যে, তারা ক্ষত্রিয় উৎসের। তাদের মধ্যে আজও রাম খান-জাতীয় নাম দেখা যায়।
ভারতের স্বাধীনতার আগেও মেওয়াটি সম্প্রদায় হোলি ও দেওয়ালি পালন করত। সেইসঙ্গে আবার দুই ঈদেও অংশ নিত। আজও তারা হিন্দুদের মতো স্বগোত্রে বিয়ে করে না। তারা যেমন নিজেদের পাণ্ডব-বংশজাত বলে বর্ণনা করেন, তেমনই তাদের দাবি— পবিত্র কোরান-এ আল্লাহ যেসব নামহীন প্রেরিত পুরুষের কথা বলেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন শ্রীকৃষ্ণ এবং রামচন্দ্র।
কিন্তু তার পরে প্রশ্ন থেকে যায়, কুরুকুলের কী হলো? খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে উত্তর ভারতে ষোড়শ মহাজনপদের উত্থানের কালে কুরুকুলের উল্লেখ পাওয়া যায়। ‘মহাভারত’-এর ঐতিহাসিক সত্যতা বহুকাল আগেই নিরূপিত। হরিদাস সিদ্ধান্তবাগীশ থেকে ডি ডি কোশাম্বী পর্যন্ত মহাভারতের ঐতিহাসিকতা নিয়ে গবেষণা করে গেছেন। ফলে এই প্রশ্ন ভারতীয় মননে দেখা দেয়াটাই সংগত যে, চন্দ্রবংশের কী হলো।
‘শ্রীমদ্ভাগবৎ গীতা’য় পাণ্ডবদের যে বংশ তালিকা দেয়া হয়েছে, তা হচ্ছে- অভিমন্যু, পরীক্ষিৎ, জন্মেজয়, শতানিক, সহস্রানিক, অশ্বমেধজ, অসীমকৃষ্ণ, নেমিচক্র, চিত্ররথ, শুচিরথ, বৃষ্টিমান, সুষেণ, সুনীত, নীচাক্ষু, সুখীনল, পরিপ্লব, সুনয়, মেধাবী, পাঞ্জয়, দুর্ব, তিমি, বৃহদ্রথ, সুদাস, শতানিক, দুর্দমন, মহীনর, দণ্ডপাণি, নিমি এবং ক্ষেমক।
ক্ষেমক এই বংশের ত্রয়োদশ পুরুষ। তার পরে আর কারোর নাম শ্রীমদ্ভাগবৎ গীতায় পাওয়া যায় না। অনুমান করা যায়, তার সময়েই পাণ্ডবদের রাজধানী কারোর দ্বারা আক্রান্ত হয় এবং তারা ইতিহাস-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।
তার পরে কেটে গেছে হাজার বছর। বিম্বিসার-অশোকের ধূসর জগৎ ক্রমে লীন হয়েছে সুলতানি-মুঘল জমানায়। বদলেছে এ দেশের রাজনৈতিক মানচিত্র। কুরু বংশের সন্তানরা এর মধ্যেই কিন্তু টিকে ছিলেন। যুগের বদলের সঙ্গে সঙ্গে তারাও বদলেছেন। এমনকী বদলে ফেলেছেন ধর্মও। এমনই এক দাবি পোষণ করে হরিয়ানা-উত্তর প্রদেশ-রাজস্থানের মেওয়াট অঞ্চলে বাসরত এক বিশেষ মুসলমান সম্প্রদায়।
মেওয়াটি মুসলমানরা নিজেদের মধ্যে পাণ্ডব-গৌরব কীর্তন করতেন, এমনটাই সাক্ষ্য দিচ্ছে বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। এই গানে অর্জুনের মতো মহাভারতীয় বীরদের কথা ঘুরে-ফিরে আসে। এসব অঞ্চলের লোকবিশ্বাস— পাণ্ডবরা রাজধানী থেকে উচ্ছিন্ন হলে তাদের বংশধররা এই অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েন এবং কালক্রমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
অনুমান করা হয় এই ধর্মান্তরণ ঘটেছিল ১২ থেকে ১৭ শতকের মধ্যে। ধর্মান্তরণের পরেও মুসলমানদের একাংশ বিশ্বাস করতে থাকেন যে, তারা ক্ষত্রিয় উৎসের। তাদের মধ্যে আজও রাম খান-জাতীয় নাম দেখা যায়।
ভারতের স্বাধীনতার আগেও মেওয়াটি সম্প্রদায় হোলি ও দেওয়ালি পালন করত। সেইসঙ্গে আবার দুই ঈদেও অংশ নিত। আজও তারা হিন্দুদের মতো স্বগোত্রে বিয়ে করে না। তারা যেমন নিজেদের পাণ্ডব-বংশজাত বলে বর্ণনা করেন, তেমনই তাদের দাবি— পবিত্র কোরান-এ আল্লাহ যেসব নামহীন প্রেরিত পুরুষের কথা বলেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন শ্রীকৃষ্ণ এবং রামচন্দ্র।