১২/১২/২০১৭

মহাভারতের পাণ্ডবদের বংশধররা মুসলমান


রথ 
‘মহাভারত’ পড়তে বসলে দেখা যায়, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের পরে কৌরব ও পাণ্ডবকুল শূন্য হয়ে যায়। পঞ্চপাণ্ডবের সন্তানরাও এই যুদ্ধে নিহত হন। কেবল বেঁচে যান অভিমন্যুর স্ত্রী উত্তরার গর্ভস্থ সন্তান পরীক্ষিৎ। তিনিই পরে হস্তিনাপুরের সিংহাসনে বসেন।

কিন্তু তার পরে প্রশ্ন থেকে যায়, কুরুকুলের কী হলো? খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতকে উত্তর ভারতে ষোড়শ মহাজনপদের উত্থানের কালে কুরুকুলের উল্লেখ পাওয়া যায়। ‘মহাভারত’-এর ঐতিহাসিক সত্যতা বহুকাল আগেই নিরূপিত। হরিদাস সিদ্ধান্তবাগীশ থেকে ডি ডি কোশাম্বী পর্যন্ত মহাভারতের ঐতিহাসিকতা নিয়ে গবেষণা করে গেছেন। ফলে এই প্রশ্ন ভারতীয় মননে দেখা দেয়াটাই সংগত যে, চন্দ্রবংশের কী হলো।

‘শ্রীমদ্ভাগবৎ গীতা’য় পাণ্ডবদের যে বংশ তালিকা দেয়া হয়েছে, তা হচ্ছে- অভিমন্যু, পরীক্ষিৎ, জন্মেজয়, শতানিক, সহস্রানিক, অশ্বমেধজ, অসীমকৃষ্ণ, নেমিচক্র, চিত্ররথ, শুচিরথ, বৃষ্টিমান, সুষেণ, সুনীত, নীচাক্ষু, সুখীনল, পরিপ্লব, সুনয়, মেধাবী, পাঞ্জয়, দুর্ব, তিমি, বৃহদ্রথ, সুদাস, শতানিক, দুর্দমন, মহীনর, দণ্ডপাণি, নিমি এবং ক্ষেমক।

ক্ষেমক এই বংশের ত্রয়োদশ পুরুষ। তার পরে আর কারোর নাম শ্রীমদ্ভাগবৎ গীতায় পাওয়া যায় না। অনুমান করা যায়, তার সময়েই পাণ্ডবদের রাজধানী কারোর দ্বারা আক্রান্ত হয় এবং তারা ইতিহাস-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন।

তার পরে কেটে গেছে হাজার বছর। বিম্বিসার-অশোকের ধূসর জগৎ ক্রমে লীন হয়েছে সুলতানি-মুঘল জমানায়। বদলেছে এ দেশের রাজনৈতিক মানচিত্র। কুরু বংশের সন্তানরা এর মধ্যেই কিন্তু টিকে ছিলেন। যুগের বদলের সঙ্গে সঙ্গে তারাও বদলেছেন। এমনকী বদলে ফেলেছেন ধর্মও। এমনই এক দাবি পোষণ করে হরিয়ানা-উত্তর প্রদেশ-রাজস্থানের মেওয়াট অঞ্চলে বাসরত এক বিশেষ মুসলমান সম্প্রদায়।

মেওয়াটি মুসলমানরা নিজেদের মধ্যে পাণ্ডব-গৌরব কীর্তন করতেন, এমনটাই সাক্ষ্য দিচ্ছে বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। এই গানে অর্জুনের মতো মহাভারতীয় বীরদের কথা ঘুরে-ফিরে আসে। এসব অঞ্চলের লোকবিশ্বাস— পাণ্ডবরা রাজধানী থেকে উচ্ছিন্ন হলে তাদের বংশধররা এই অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েন এবং কালক্রমে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

অনুমান করা হয় এই ধর্মান্তরণ ঘটেছিল ১২ থেকে ১৭ শতকের মধ্যে। ধর্মান্তরণের পরেও মুসলমানদের একাংশ বিশ্বাস করতে থাকেন যে, তারা ক্ষত্রিয় উৎসের। তাদের মধ্যে আজও রাম খান-জাতীয় নাম দেখা যায়।

ভারতের স্বাধীনতার আগেও মেওয়াটি সম্প্রদায় হোলি ও দেওয়ালি পালন করত। সেইসঙ্গে আবার দুই ঈদেও অংশ নিত। আজও তারা হিন্দুদের মতো স্বগোত্রে বিয়ে করে না। তারা যেমন নিজেদের পাণ্ডব-বংশজাত বলে বর্ণনা করেন, তেমনই তাদের দাবি— পবিত্র কোরান-এ আল্লাহ যেসব নামহীন প্রেরিত পুরুষের কথা বলেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন শ্রীকৃষ্ণ এবং রামচন্দ্র।

১০/২৩/২০১৭

ছোটবেলার খেলা...

 কাগজের নৈাকা
 গামছা দিয়ে মাছ ধরা
সুপারি গাছের পাতা চড়ার মজা
বিদ্দা 
সাত খোপলা
 মার্বেল/গুলি খেলা
মোড়গ লড়াই
 গুঠি খেলা
ডান্ডা ফুত্তি খেলা
 গাছের ডালের দোলনা
চড়ুই ভাতি/ ভুচকি ভাত/পশালু

 খেজুরের রস পান
ঢোল গাড়ি

টায়ার চালানো
 টিপ খেলা
ঘুড়ি উড়ানো
ক্রিকেট
কার্টুন
গোল্লাছুট

যখন আমরা ছোট ছিলাম

যখন আমরা ছোট ছিলাম.... হাতগুলো জামার মধ্যে ঢুকিয়ে নিয়ে বলতাম, আমার হাত নেই, একটা পেন ছিল, যার চার রকম কালি, আর আমরা তার চারটে বোতাম একসাথে টেপার চেষ্টা করতাম, দরজার পেছনে লুকিয়ে থাকতাম কেউ এলে চমকে দেবো বলে, সে আসতে দেরি করছে বলে অধৈর্য হয়ে বেরিয়ে আসতাম,
ভাবতাম আমি যেখানে যাচ্ছি, চাঁদটাও আমার সঙ্গে সঙ্গে যাচ্ছে সুইচের দুদিকে আঙুল চেপে অন্-অফ এর মাঝামাঝি ব্যালেন্স করার চেষ্টা করতাম.
তখন আমাদের শুধু একটা জিনিসের খেয়াল রাখার দায়িত্ব ছিলো, সেটা হলো স্কুলব্যাগ ক্লাসে বসে কলম-কলম খেলা,খাতায় ক্রিকেট,চোর-ডাকাত-বাবু-পুলিশ
, ইক্স-ওক্স খেলতাম স্কুল ছুটির পর কটকটি,বস্তা আইসক্রিম, লটারি আইসক্রিম,হাওয়াই মিঠা না খেতে পারলে মনটাই খারাপ হয়ে যেত স্কুলে দোলনায় না চড়ে নারিকেল গাছের পাতা টেনে ঝুলে থাকতাম স্কুল ছুটি হলে দৌড়ে বাসায় আসতাম মিনাকার্টুন , শক্তিমান, গডজিলা, সামুরাই এক্স দেখতে, শুক্রবারে দুপুর ৩টা থেকে অপেক্ষা করতাম কখন বিটিভিতে বাংলা সিনেমা শুরু হবে এবং সন্ধার পরে আলিফ লায়লা, সিন্দাবাদ, রবিনহুড, টিম নাইট রাইডার,হারকিউলি
ক্স,মিস্টিরিয়াস আইল্যন্ড,এক্স-ফাইলস দেখার জন্য পুরো সপ্তাহ অপেক্ষা করতাম।
ফলের দানা খেয়ে ফেললে দুশ্চিন্তা করতাম..... পেটের মধ্যে এবার গাছ হবে ঘরের মধ্যে ছুটে যেতাম,তারপর কি দরকার ভুলে যেতাম,ঘর থেকে বেরিয়ে আসার পর মনে পড়ত.... দুপুরের রোদে সুতা মান্জা দিয়া বিকালে ঘুড়ি দিয়া কাটাকাটি খেলা.
বিকেলে ওপেনটি বায়োস্কোপ, পাতা পাতা, বরফপানি, কুতকুত না খেললে বিকালটাই মাটি হয়ে যেত.
এ বাড়ী ও বাড়ীর সবাই মিলে বাড়ীর উঠানে চোর পুলিশ খেলা,সাত চারা,টেনিস বলে কস্টটেপ পেচাইয়া পিঠ ফুডান্তি (বোম্বাসটিং) খেলা .

রাতে কারেন্ট চলে যাবার পর সবাই পাটি বিছিয়ে বসে ভূতের গল্প করা, নয়তো বাশঁবাগান থেকে জোনাক পোকা ধরা. ফাইনাল পরীক্ষা যেহেতু শেষ সেহেতু সকালে পড়া নাই। এত মজা কই রাখি?নানু বাড়ি,দাদু বাড়ি যাওয়ার এই তো সময় ব্যাডমিন্টন, ক্যারাম, সাপ-লুডু না খেললে কি হয়!
টিনটিন,চাচা-চৌধুরী,বিল্লু,পিংকি,তিন গোয়েন্দা পড়তাম।
ডিসেম্বর মাস আর শীতকালটা আমাদের ছেলেবেলায় এমনি কালারফুল ছিল। তবে ডিসেম্বরের ৩১ তারিখ যত আগাইয়া আসত মনের মধ্যে ভয় তত বাড়ত। ওইদিন যে ফাইনালের রেজাল্ট দিবে।
আজকাল ছেলে মেয়েদের শীতকাল ,গরমকাল নাই। রুটিন সেই একটাই। বাসা ,স্কুল ,কলেজ, কোচিং ,ফেসবুক ,চ্যাট।
আর আমরা কলেজে উঠার আগ পর্যন্ত মন খারাপ ,ফ্রাসটেশন কি জিনিস বুঝতামি না। মন খারাপ মানে হইল ম্যাচের সময় প্রাইভেট থাকা।
.
নব্বইতে ছেলেবেলার সে দিনগুলোতে আমরা হয়ত ক্ষেত ছিলাম ,আমাদের এত এত উচ্চমাত্রায় জ্ঞ্যান ছিলনা হয়ত লেমও ছিলাম কিন্তু আমাদের সারাজীবন মনে রাখার মত একটা ছেলেবেলা ছিল আমি জানি আমাদের জেনারেশনের যারা এগুলো পড়ছো,তোমাদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে, ছোটবেলায় সবথেকে বেশিবার জিজ্ঞাসিত প্রশ্নটার উত্তর আমি পেয়েছি অবশেষে...
-তুমি বড়ো হয়ে কি হতে চাও ?
উত্তর- আবার ছোট হতে চাই.
(সংগৃহীত)'

১০/২২/২০১৭

কীভাবে এত আয় রোনালদোর


‘সিআরসেভেন’ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো খবরটা অনেক আগেই নিশ্চয়ই পেয়েছেন। হয়তো মনঃক্ষুণ্নও হয়েছেন। কে জানে, এতক্ষণে হয়তো আবার ‘শীর্ষে’ ফেরার পথপরিকল্পনাও করে ফেলেছেন! ‘দ্বিতীয়’ শব্দটাতেই যে তাঁর বড্ড আপত্তি।

গত বছর দুয়েকে ফুটবল মাঠে প্রায় সব জায়গাতেই বিজয়ী হয়ে ফিরেছেন। লিগ, চ্যাম্পিয়নস লিগ, ইউরো, ব্যালন ডি’অর...শুধু কনফেডারেশনস কাপের সেমিফাইনালে চিলিয়ানদের ঝাঁজটা সইতে পারেননি রিয়াল মাদ্রিদ ও পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড। তা ফুটবল মাঠে যাঁর সর্বগ্রাসী দাপট, তিনিই কিনা শীর্ষস্থান হারালেন মাঠের বাইরের এক তালিকায়!

তালিকাটা কিসের? খেলা, গান, নাচ, লেখালেখি...ইউরোপের সব অঙ্গনে ধনী তারকাদের আয়ের! এত দিন সেখানেও এক নম্বরেই ছিলেন রোনালদো। কিন্তু ফোর্বস সাময়িকীর প্রকাশিত সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী, তাঁকে হটিয়ে শীর্ষে উঠে গেছেন ব্রিটিশ লেখিকা জে কে রাউলিং।

২০১৭ সালে হ্যারি পটার সিরিজের লেখিকার আয় দাঁড়াতে পারে ৯ কোটি ৫০ লাখ ইউরো। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৯২৫ কোটি টাকা (১ ইউরো = ৯৭.২৯ টাকা ধরে)। রোনালদোর আয় রাউলিংয়ের চেয়ে ২০ লাখ ইউরো কম! ৮ কোটি ৮০ লাখ ইউরো আয় নিয়ে তালিকার তিনে ব্রিটিশ রক ব্যান্ড কোল্ডপ্লে।

তালিকায় লিওনেল মেসি কততম, জানতে ইচ্ছে করছে তো? তালিকাটাই তো ইউরোপের তারকাদের, সেখানে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের থাকার প্রশ্নই আসে না। তবে ইউরোপ ছাড়িয়ে পুরো বিশ্বের তারকাদের তালিকায় বার্সেলোনার আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড আছেন ১৪ নম্বরে। সেখানে রোনালদো তাঁর ‘চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী’র চেয়ে ৯ ধাপ এগিয়ে পাঁচে।

তবে এখনো একটা জায়গায় ‘অপ্রতিদ্বন্দ্বী’ রোনালদো। কি ফুটবল, কি অন্য খেলা, কি ইউরোপ, কি বাকি বিশ্ব...খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় ৩২ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডেরই। কীভাবে এত আয় রোনালদোর, সেটিও জেনে নেওয়া যাক—

বেতনটা মন্দ নয়

গত নভেম্বরেই রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করেছেন রোনালদো। যেখানে তাঁর বেতন সপ্তাহে ৩ লাখ ৬৫ হাজার পাউন্ড (প্রায় ৪ লাখ ইউরো, ৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকা)। ইউরোপে তাঁর চেয়ে বেশি বেতন শুধু দুজনেরই—বার্সেলোনার লিওনেল মেসি (সপ্তাহে ৫ লাখ পাউন্ড বা ৫ কোটি ৪৪ লাখ টাকা) ও নেইমার (৫ লাখ ৩৭ হাজার পাউন্ড, ৫ কোটি ৮৪ লাখ টাকা)।

বিজ্ঞাপনী চুক্তির খেল

তাঁর সবচেয়ে বড় স্পনসরশিপ চুক্তিটা নাইকির সঙ্গেই। রিয়ালের সঙ্গে চুক্তিটা নবায়নের কাছাকাছি সময়েই যুক্তরাষ্ট্রের ক্রীড়াসামগ্রী প্রস্তুতকারক ব্র্যান্ডের সঙ্গেও চুক্তি নবায়ন করেছেন রোনালদো। তবে এই চুক্তিটার একটা বিশেষত্ব আছে—এটি আজীবনের চুক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল কিংবদন্তি লেব্রন জেমসের পর নাইকির ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় আজীবনের চুক্তি। রোনালদোর চুক্তিটির মূল্য? ১০০ কোটি ডলার! নাইকির বাইরে ট্যাগ হ্যয়ার, আরমানি, পোকারস্টার্স ও ক্যাস্ট্রলের সঙ্গেও চুক্তি আছে রোনালদোর।

বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী

এত এত বাণিজ্যিক পণ্যের দূত তিনি, তাঁর নিজেরও একটা ব্র্যান্ড থাকবে না? তা হয়! ‘সিআরসেভেন’ ব্র্যান্ডটা চারদিকে ছড়িয়েও দিচ্ছেন রোনালদো। অন্তর্বাস দিয়ে শুরু, ‘পেস্তানা সিআরসেভেন’ নামে পর্তুগালে দুটি হোটেলও আছে। একটি লিসবনে, অন্যটি তাঁর জন্মশহর মাদেইরার ফুনচালে। গত বছরের শেষ দিকে মাদ্রিদে সিআরসেভেন ফিটনেস নামে একটা জিমও খুলেছেন।

সম্পত্তির হিসাব

তাঁর ব্যবস্থাপনা কোম্পানি ছাড়া এই তথ্য সঠিকভাবে কেউই দিতে পারবে না। তবে বেশির ভাগ সূত্রেরই হিসাব, রোনালদোর গাড়ি-বাড়ি-বিনিয়োগ...সব মিলিয়ে মোট সম্পত্তির পরিমাণ ২০-২৫ কোটি পাউন্ড। বাংলাদেশি টাকায়? চোখ কচলে নিন...২ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মতো!
ইউরোপে সবচেয়ে বেশি আয়ে সেরা পাঁচ

            নাম                             পেশা                     আয় (ইউরোয়)
১. জে কে রাউলিং                 লেখিকা                 ৯ কোটি ৫০ লাখ
২. ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো      ফুটবলার                ৯ কোটি ৩০ লাখ
৩. কোল্ডপ্লে                       রক ব্যান্ড                ৮ কোটি ৮০ লাখ
৪. অ্যাডেল                         গায়িকা                 ৬ কোটি ৯০ লাখ
৫. রজার ফেদেরার            টেনিস খেলোয়াড়        ৬ কোটি ৪০ লাখ
দানসত্র
শুধু আয় কেন, দাতব্য কাজে রোনালদোর দানও তো ঈর্ষণীয়। ২০১৫ সালে ‘ডুসামথিংগুড’ নামের প্রতিষ্ঠানের কাছ সবচেয়ে মহানুভব ক্রীড়াব্যক্তিত্ব স্বীকৃতিটা তো আর এমনি এমনি পাননি! কদিন আগেই নিজের সাধের ব্যালন ডি’অর ট্রফিগুলোর একটি ৬ লাখ পাউন্ডে বিক্রি করে দিয়েছেন সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য অর্থ তুলতে। ২০১৬ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার পর বোনাস হিসেবে পাওয়া ৬ লাখ ইউরোও দান করে দিয়েছিলেন। এর আগের বছর পর্তুগালে একটি ক্যানসার সেন্টারে দিয়েছিলেন ১ লাখ ৬৫ হাজার পাউন্ড।
রমরমা ফেসবুক-টুইটারেও
ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম মিলিয়ে ২০ কোটিরও বেশি অনুসরণকারী রোনালদোর। খেলাধুলার স্পনসরশিপ বিশ্লেষণ প্রতিষ্ঠান ‘হুকইটে’র হিসাব, এত অনুসরণকারী পাওয়া প্রথম খেলোয়াড় তিনি। ফেসবুকে সবচেয়ে জনপ্রিয় অ্যাথলেট তিনি, অনুসরণকারী ১২ কোটি ২০ লাখ। মেসির অনুসরণকারী অনেক কম—৮ কোটি ৯০ লাখ। ইনস্টাগ্রামেও খেলোয়াড়দের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় রোনালদো। অনুসরণকারী ১০ কোটি ৮০ লাখ। 
সূত্র: ফোর্বস, গোলডটকম।

Related Posts Plugin for WordPress, Blogger...